প্রশ্নঃ— ইমাম তিরমিজী রহঃ কী আবূ হানিফা রহঃ কে আমভাবে সুন্নতের বিরুদ্ধচারণকারী
•••••••••••••••
জবাবঃ-
না, বরং একটি খাস ইস্তিসকার/
অথচ, আহাফিরা এটাকেই বিকৃতভাবে এই রকমের প্রচার করছে যে, তিরমিজীর রহঃ মতে, ইমাম আবূ হানিফা রহঃ সুন্নতের বিরুদ্ধচারণকারী
আসলে আবূ হানিফার রহঃ সম্পর্কে কোন পরিপ্রেক্ষিতে কী বলেছিলেন তিরমিজী রহঃ??
এবং আবূ হানিফা রহঃ এর উক্ত ফতোয়াগুলোর দলীল কী??
মূলতঃ আবূ ‘ঈসা তিরমিজী রহঃ বলেছেনঃ—
.قَالَ أَبُو عِيسَى : قَالَ النُّعْمَانُ أَبُو حَنِيفَةَ لاَ تُصَلَّى صَلاَةُ الاِسْتِسْقَاءِ
আবূ হানিফা নু‘মান রহঃ বলেন, বৃষ্টি প্রার্থনার নামায নেই। আমি চাদর পরিবর্তনের আদেশও দেই না। বরং তারা স্বাভাবিকভাবেই দু‘আ করবে। আবূ ‘ঈসা (তিরমিযী) বলেনঃ তিনি সুন্নাতের বিরুদ্ধাচরণ করেছেন।
(জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৫৫৯)
এখানে আবূ হানিফা রহঃ সর্বমোট ৩টি কথা বলেছেন যে,
① বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ নেই ৷ (অর্থাৎ আবূ হানিফার রহঃ মতে—বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ জরুরী নয়)
②আমি চাদর পরিবর্তনের আদেশও দিই না ৷ অর্থাৎ চাদর পরিবর্তন করাও উনার মতে জরুরী নয় ৷
③ বৃষ্টিপ্রার্থনা
এখন, আবূ হানিফার রহঃ উক্ত মন্তব্যগুলোর যদি হাদীসি দলীল থাকে, তবে তিরমিজীর রহঃ মন্তব্যের কোনোই মূল্য থাকে না যে, আবূ হানিফা রহঃ ইস্তিসকার বিষয়ে সুন্নতের বিরোধীতাকারী ৷৷
🌴🎓🌴 ইমাম আবূ হানিফার রহঃ দলীলসমূহঃ—
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ بِشْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُعَافَى بْنُ عِمْرَانَ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ،
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট সম্পদ বিনষ্ট হবার এবং পরিবার-পরিজনের দুঃখ-কষ্টের অভিযোগ জানান। তখন তিনি আল্লাহ্র নিকট বৃষ্টির জন্য দু‘আ করলেন। বর্ণনাকারী এ কথা বলেননি, তিনি (আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ) তাঁর চাদর উল্টিয়ে ছিলেন এবং এও বলেননি তিনি ক্বিব্লামুখী হয়েছিলেন।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১০১৮
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
↓
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَتِ الْمَوَاشِي، وَتَقَطَّعَتِ السُّبُلُ، فَادْعُ اللَّهَ. فَدَعَا اللَّهَ، فَمُطِرْنَا مِنَ الْجُمُعَةِ إِلَى الْجُمُعَةِ، فَجَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَهَدَّمَتِ الْبُيُوتُ وَتَقَطَّعَتِ السُّبُلُ وَهَلَكَتِ الْمَوَاشِي. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُمَّ عَلَى ظُهُورِ الْجِبَالِ وَالآكَامِ وَبُطُونِ الأَوْدِيَةِ وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ ". فَانْجَابَتْ عَنِ الْمَدِينَةِ انْجِيَابَ الثَّوْبِ.
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহ্র রসূল! পশুগুলো মরে যাচ্ছে এবং রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই আপনি আল্লাহ্র নিকট (বৃষ্টির জন্য) দু‘আ করুন। তখন তিনি দু‘আ করলেন। ফলে এক জুমু‘আ হতে পরের জুমু‘আ পর্যন্ত আমাদের উপর বৃষ্টিপাত হতে থাকল। অতঃপর এক ব্যক্তি আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহ্র রসূল! ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং রাস্তাঘাট বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে এবং পশুগুলোও মরে যাচ্ছে। আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তখন দু‘আ করলেন, হে আল্লাহ্! পাহাড়ের উপর, টিলার উপর, উপত্যকায় এবং বনভূমিতে বর্ষণ করুন। ফলে মদীনা হতে মেঘ এমনভাবে কেটে গেল যেমন কাপড় ছিড়ে ফাঁক হয়ে যায়।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১০১৯
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
↓
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ بَيْنَمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَحَطَ الْمَطَرُ فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَسْقِيَنَا. فَدَعَا فَمُطِرْنَا، فَمَا كِدْنَا أَنْ نَصِلَ إِلَى مَنَازِلِنَا فَمَا زِلْنَا نُمْطَرُ إِلَى الْجُمُعَةِ الْمُقْبِلَةِ.
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুমু‘আ’র দিন খুত্বা দিচ্ছিলেন। এ সময় এক ব্যক্তি এসে বললেন, হে আল্লাহ্র রসূল! বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেছে। আপনি আল্লাহ্র নিকট দু‘আ করুন। তিনি যেন আমাদেরকে বৃষ্টি দান করেন। তিনি তখন দু‘আ করলেন। ফলে এত অধিক বৃষ্টি হল যে, আমাদের নিজ নিজ ঘরে পৌঁছতে পারছিলাম না। এমনকি পরের জুমু‘আ পর্যন্ত বৃষ্টি হতে থাকল। আনাস (রাঃ) বলেন, তখন সে লোকটি অথবা অন্য একটি লোক দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহ্র রসূল! আপনি দু‘আ করুন, আল্লাহ্ যেন আমাদের উপর হতে বৃষ্টি সরিয়ে দেন। তখন আল্লাহ্র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃহে আল্লাহ্! আমাদের আশে পাশে, আমাদের উপর নয়। আনাস (রাঃ) বলেন, আমি দেখতে পেলাম, মেঘ ডানে ও বামে পৃথক হয়ে বৃষ্টি হতে লাগল, মদীনাবাসীর উপর বর্ষণ হচ্ছিল না।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১০১৫
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
এইসব হাদীসে পরিষ্কারভাবেই বলা হয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ সঃ বৃষ্টিপ্রার্থনা
↓
🌴🍂🌴সাহাবীদের ব্যাপারেও সালাত না পড়ে স্রেফ দুআ করার আমল পাওয়া যায়ঃ—
↓
3116 - وَعَن الشّعبِيّ قَالَ: " خرج عمر بن الْخطاب رَضِيَ اللَّهُ عَنْه يَسْتَسْقِي فَلم يزدْ عَلَى الاسْتِغْفَار. فَقَالُوا: مَا رَأَيْنَاك اسْتَسْقَيْت، فَقَالَ: لقد طلبت الْغَيْث بِمَجَادِيح السَّمَاء الَّتِي يسْتَنْزل بهَا الْمَطَر. ثمَّ قَرَأَ {اسۡتَغۡفِرُوۡا
ওমর রাঃ বৃষ্টিপ্রার্থনা
আল্লাহ তায়ালা অন্যত্র বলেছেনঃ- তোমরা তোমাদের রবের নিকটে ইস্তিগফার/
{ইমাম নববী রহঃ এর খুলাসাতুল আহকাম, হাঃ নং ৩১১৬}
🌺এই হাদীসটার শাহেদ আছে সহীহ বুখারীতে যে, ওমর রাঃ সালাত পড়েন নি বরং স্রেফ দুআ করেছিলেনঃ—
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الأَنْصَارِيُّ،
আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
‘উমর ইব্নু খাত্তাব (রাঃ) অনাবৃষ্টির সময় ‘আব্বাস ইব্নু আবদুল মুত্তালিব (রাঃ)-এর ওয়াসীলাহ্ দিয়ে বৃষ্টির জন্য দু‘আ করতেন এবং বলতেন, হে আল্লাহ্! (আগে) আমরা আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর ওয়াসীলাহ্ দিয়ে দু‘আ করতাম এবং আপনি বৃষ্টি দান করতেন। এখন আমরা আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চাচার ওয়াসীলাহ্ দিয়ে দু‘আ করছি, আপনি আমাদেরকে বৃষ্টি দান করুন। বর্ণনাকারী বলেন, দু‘আর সাথে সাথেই বৃষ্টি বর্ষিত হত।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১০১০
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD
🌴🎓🌴 ইমাম নববী রহঃও পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে ইস্তিসকাহ বা বৃষ্টি প্রার্থনার পদ্ধতি তিন প্রকারঃ—
والاستسقاء أنواع (ادناها) الداعاء بِلَا صَلَاةٍ وَلَا خَلْفَ صَلَاةٍ فُرَادَى وَمُجْتَمِعِينَ
প্রথমতঃ শুধুমাত্র দুআ করা, কোনো রকমের সালাত না পড়া.....যৌথভাব
(শরহু মুহাজ্জাব, পৃষ্ঠা ৫/৬৪)
অতএব, প্রমাণিত হলো যে, বৃষ্টিপ্রার্থনা
0 Comments